প্রতিবাদ ও দ্রোহের প্রতীক অধ্যাপক ড. আহমদ শরীফ
হাসান ফকরী:: দ্রোহী চেতনা, সৃষ্টিশীল বহুমুখী কর্মে এবং মননশীল সাধনার জন্য ড. আহমদ শরীফ আজ ঐতিহাসিক ব্যক্তিই শুধু নন; তিনি নিজেও আজ এক ইতিহাস।
দেশি বিদেশি শাসক শোষকের বিরুদ্ধে, প্রতিক্রিয়াশীল ও সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে তিনি সব সময় আগুন ইস্পাত রূপে ঝলসে ওঠেছেন। কোন দিনও কোন চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে, তার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক শক্তির মৃত্যু পরোয়ানাকে তুচ্ছ জ্ঞান করে সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বিপ্লবী শক্তির সাথে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে চলেছেন জোর কদমে। শাসক গোষ্ঠীর অপরাজনীতির শিকড় সমূলে উপড়ে ফেরতে বিপ্লবী শক্তির উত্থান কামনায় নানান প্রয়াস চালিয়েছেন তিনি। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে উপস্থিত থেকে পুলিশি গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্য জনগণকে আহ্বান জানাতেন।
লুটেরাদের সংসদনির্ভর নির্বাচন সর্বস্ব সংশোধনবাদী রাজনীতির সুবিধাবাদী স্বরূপ উপলব্ধি করে ড. আহমদ শরীফ সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যে শ্রেণি সংগ্রামের প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেছিলেন।
১৯৬৮ সালে লেখক শিল্পীদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠীর হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ সভার অন্যতম সংগঠক ও বক্তা ছিলেন ড. আহমদ শরীফ। ১৯৭১ সালে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া কর্তৃক অপ্রত্যাশিতভাবে পাকিস্তান জাতীয় সংসদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা হলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে লেখক বুদ্ধিজীবীদের স্বাধীনতার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের পরিচালক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। স্বাধীনতার পরবর্তীকালেও বাংলাদেশের শাসক গোষ্ঠীর যে কোন অগণতান্ত্রিক আচরণ বা স্বৈরাচারিক আইন অগ্রাহ্য করে ড. আহমদ শরীফ বক্তৃতা- বিবৃতি দিয়ে সব সময়ই জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। ১৯৭৪ সালে মানুষ সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের বিরুদ্ধে তিনি মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও আইনের সাহায্য কমিটি গঠন করেন। ১৯৭৬ সালে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে ‘‘প্রতিবাদ প্রতিরোধের একুশে” উদযাপন কমিটির নেতৃত্ব দেন।
অধ্যাপক আহমদ শরীফের সৃষ্টিশীল বহুমুখী কাজ নিয়ে তাঁর জীবিতাবস্থায় এবং মৃত্যুর পর বহু গবেষণা হয়েছে এবং হচ্ছে। সেই সব লেখায় রচনায় আহমদ শরীফের প্রথাবিরোধিতা, প্রতিবাদ ও দ্রোহী মানস বৈশিষ্ট্যটি প্রধান রূপে ফুটে উঠেছে। প্রতিবাদ ও দ্রোহের প্রতীক মানবপ্রেমী অধ্যাপক আহমদ শরীফের সেই প্রতিবাদী কর্ম ও বক্তব্যের কিছু কথা সংক্ষেপে উল্লেখ করছি।
১৯৬৯ সালে ১৪ জানুয়ারি লেখক স্বাধিকার সংরক্ষণ কমিটির পক্ষ থেকে চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর হামলার প্রতিবাদে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সভায় ড.আহমদ শরীফ বলেন, সংবাদপত্র বন্ধ, প্রেস উপদেশ, বিশেষ সংবাদের উপর বিধি-নিষেধ আরোপ, গ্রন্থ বাজেয়াপ্ত করা, রেডিও-টিভি সম্পূর্ণ কুক্ষিগত করা, বিএনআর এর গোয়েন্দাগিরি প্রভৃতির মাধ্যমে চিন্তা ও মত প্রকাশের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
১৯৬৯ সালে ৩০ নভেম্বর পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলা করতে সাতজন বিশিষ্ট সাহিত্যিক শিক্ষাবিদ ও চিন্তাবিদ একটি বিবৃতি দেন. তাঁরা হলেন ড. আহমদ শরীফ, কবি জসিম উদ্দিন, আবুল হাশিম. ড. এনামুল হক, বেগম সুফিয়া কামাল, মুনীর চৌধুরী এবং অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী।
১৯৬৯ সালে ২৫ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের নাম বাংলাদেশ দাবি উত্থাপন করে অনুষ্ঠিত এক সেমিনারে তিনি বলেন, একজন মানুষের পরিচয় নামের, দেশের আর পেশার।
১৯৭০ সালে ৩ জানুয়ারি ড. আহমদ শরীফ সহ ৩০ জন শিক্ষাবিদ, কবি ও সাহিত্যিক এক যুক্ত বিবৃতিতে পাকিস্তানের সামরিক সরকার কর্তৃক বেশ কিছু বাঙালি লেখকের গ্রন্থের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারীর প্রতিবাদ জানান।
১৯৭০ সালে ১৫ জানুয়ারি পাকিস্তান সরকারের প্রেস ও পাবলিকেশনস অর্ডিন্যান্স বাতিলের জন্য বাংলা একাডেমিতে প্রতিবাদ সভায় তিনি প্রতিবাদের বজ্র আওয়াজ তোলেন।
১৯৭০ সালে ১০ ফেব্রুয়ারি সমকাল ভবনে ড. আহমদ শরীফের সভাপতিত্বে ‘লেখক স্বাধিকার সংরক্ষণ কমিটি’র এক বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি শিল্প সাহিত্যের এলাকা থেকে সরকারি নির্যাতনমূলক তৎপরতা বন্ধ করার জোর দাবি জানান।
১৯৭১ সালে ৫ মার্চ বিকালে শহীদ মিনারে লেখকরা শপথ নেন এবং জনগণের আন্দোলন- সংগ্রামের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন। সভার সভাপতি অধ্যাপক আহমদ শরীফ লেখকদের শপথ পাঠ করান।
১৯৭১ সালে ২১ মার্চ বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ড. আহমদ শরীফের সভাপতিত্বে বিপ্লবী কবিতা পাঠের অনুষ্ঠান হয়।
১৯৭১ সালে ১৪ মার্চ ড. আহমদ শরীফের সভাপতিত্বে লেখক সংগ্রাম শিবিরের এক সভায় তিনি তাঁর ভাষণে মুক্ত সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল রাজনৈতিক নেতাকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আপোষহীন সংগ্রাম চালিয়ে যাবার আহ্বান জানান।
১৯৭২ সালে ২০ জানুয়ারি শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির ভাষণে ড. আহমদ শরীফ বলেন, প্রতিবছর শহীদ দিবস পার্বণের মতো উৎসবের মতো পালন করছি। কখনও বাস্তব প্রয়োগের চিন্তা করিনি।
১৯৭২ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বাংলা একাডেমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের লক্ষ্যে এক সভায় ড. আহমদ শরীফ বলেন, স্বাধীন সরকারের কাছে আমাদের আহ্বান: আমাদের কথা বলার স্বাধীনতা দিন। আমরা ধনদৌলত কিছুই চাই না। শুধু বাক স্বাধীনতা চাই।
১৯৭৩ সালে দেশের দুর্ভিক্ষকালীন পরিস্থিতিতে ড. আহমদ শরীফ অন্যান্য বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে মন্বন্তর প্রতিরোধ আন্দোলন নামে কমিটি তৈরি করে বিভিন্ন সময় কড়া ভাষায় বক্তৃতা বিবৃতি প্রদান করেন।
১৯৭৪ সালে ১ লা এপ্রিল মৌলিক অধিকার সংরক্ষণ ও আইন সাহায্য কমিটির সভাপতি ড. আহমদ শরীফ প্রেস ক্লাবে বুদ্ধিজীবীদের এক বিরাট সমাবেশে অধিকার হরণের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সংঘবদ্ধ হওয়ার আবেদন জানান। একই দিন তিনি দি পিপলস পত্রিকায় বিনা বিচারে আটকের কালাকানুনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার আহ্বান জানান।
১৯৭৬ সালে তিনি গঠন করেন প্রতিবাদ প্রতিরোধের একুশে।
১৯৮০ সালে ১৪ অক্টোবর নিউজপ্রিন্ট মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ অনুষ্ঠানের এক সেমিনারে বলেন, আর প্রতিবাদ নয়, প্রতিরোধ।
১৯৮১ সালে ১৪ এপ্রিল, ড. আহমদ শরীফকে সভাপতি নির্বাচন করে সাম্প্রদায়িকতা ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী নাগরিক কমিটি গঠন করা হয়।
১৯৮১ সালে ২৫ মে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণে সাম্প্রদায়িকতা ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী নাগরিক কমিটির সভায় তিনি দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে জনমত তৈরির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক শৈথিল্যের কড়া সমালোচনা করেন।
১৯৮৬ সালে ৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশ কেন্দ্র আয়োজিত ‘বিরাষ্ট্রীয় কার স্বার্থে’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির ভাষণে তিনি বলেন, ১৫ দল ও ৭ দল জনগণকে বাঁদর নাচ নাচাচ্ছে, জামায়াতকে ঘৃণা করার কথা, কিন্তু তারা জামাতের সাথে আপোষ করে এক সঙ্গে মিটিং করছে। এটা লজ্জার কথা।
৬ মার্চ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে চট্টগ্রাম সংস্কৃতি পরিষদের এক সভায় ড. আহমদ শরীফ বলেন, মরিয়া হয়ে মারার সাহস নিয়ে রাস্তায় নামলেই জাতি স্বৈরশাসন থেকে মুক্তি পাবে নতুবা নয়।
২রা জুন বাংলা একাডেমিতে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের এক স্মরণসভায় ড. আহমদ শরীফ অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে বলেন, একজন দু‘জন নয়, আমরা সকল বুদ্ধিজীবিরাই চরিত্রহীন, কাপুরুষ। আমরা সত্যকে সত্য বলতে এবং মিথ্যাকে মিথ্যা বলতে ভয় পাই।
২৭ জুন জাতীয় যুব সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে ড. আহমদ শরীফ বলেন, গত ৩৮ বছর ধরে যারা ক্ষমতায় আছেন তারা কেউই দেশপ্রেমিক নন। এরা জুলুম প্রবণ এবং বিবেকবুদ্ধিহীন। নির্বাচন সম্পর্কে বলেন, এই নির্বাচন গণতন্ত্রের নামে গুন্ডাতন্ত্র ও মাস্তানতন্ত্র কায়েম করেছে।
১৯৮৮ সালে ১ লা জানুয়ারি কমরেড সিরাজ সিকদারের ত্রয়োদশ মৃত্যুবার্ষিকীর সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ড. আহমদ শরীফ বলেন, সমাজ পরিবর্তনের জন্য সিরাজ সিকদারের পথই সঠিক ছিল।
১২ অক্টোবর টিএসসিতে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফন্ট আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় ড. আহমদ শরীফ বলেন, দুষ্কৃতির বিরুদ্ধে সংগ্রামে রক্ত দিতে হবে। আঘাত পেতে হবে মারবার জন্য। তিনি আরও বলেন, বুর্জোয়া রাজনীতি ব্যর্থ। কৃষক অভ্যুত্থানে সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, এ ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা পাই এবং ইতিহাসেও প্রচুর দৃষ্টান্ত আছে ক্ষমতাসীন শ্রেণিকে ক্ষমতাচ্যুত করা কেবল বল প্রয়োগের মাধ্যমেই সম্ভব।
১৯৯৩ সালে কমিউনিস্ট বিপ্লবের মহান নেতা কমরেড মাওসেতুং এর জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠানে জাতীয় প্রেস ক্লাবে তিনি বলেন, সমাজতন্ত্র, কমিউনিজম, তথা মার্কস-লেনিন- মাওসেতং এর দেখানো পথেই কেবল বিশ^ব্যাপী মেহনতী জনতার মুক্তি সম্ভব।
১৯৯৩ সারে ৭ অক্টোবর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রে বাংলাদেশ লেখক শিবিরের দ্বিবার্ষিক সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড, আহমদ শরীফ বলেন, চাটুকারিতা ও তোষামোদকারীদের হাত থেকে বাঙালির আজন্ম সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশে এক শ্রেণির কবি, সাহিত্যিক ও লেখক রয়েছে, সরকারের তোষামোদ করাই যাদের কাজ।
১৯৯৪ সালে ৭ ফেব্রুয়ারি টিএসসি সড়ক দ্বীপে জাতীয় গণতান্ত্রিক ফন্টের তৃতীয় সম্মেলনে ড. আহমদ শরীফ তার বক্তৃতায় বলেন, আমাদের দেশের সরকার একটা মুৎসুদ্ধি সরকার। বিশ্বব্যাংক আইএমএফ এর হুমকিতে দেশ চলে।
১৯৯৫ সালে ১১ মার্চ টিএসসির সেমিনার কক্ষে বিপ্লবী নারী মুক্তি আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস ও নারী মুক্তি সমস্যা’- শীর্ষক সেমিনারে ড. আহমদ শরীফ বলেন, নারী দিবসের শিক্ষা হচ্ছে শ্রেণি আন্দোলন থেকে নারী আন্দোলনে আসা নয়। নারী আন্দোলনকে শ্রেণি আন্দোলনে নিয়ে যাওয়া।
১৯৯৭ সালে ১০ অক্টোবর ড. আহমদ শরীফ বাংলাদেশ টেলিভিশন সম্পর্কে বলেন, মিথ্যা কথা, কটূক্তি শিখতে হলে বিটিভি দেখতে হবে। বিটিভি কোন শিক্ষিত মানুষের দেখবার পর্দা নয়, এটি হলো মারামারি ও লুটোপুটোর বাক্স।
১৯৯৮ সালে ২৮ ডিসেম্বর ড. আহমদ শরীফ মার্কিন ফ্যাসিবাদী শক্তি কর্তৃক ইরাকের জনসাধারণের উপর বোমা হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন।
১৯৯৯ সালে ২রা জানুয়ারি কমরেন্ড সিরাজ সিকদারের মৃত্যুবার্ষিকী সভায় ড. আহমদ শরীফ বলেন, হরতাল করার অধিকার গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার। সরকার হরতাল বন্ধের জন্য হৈচৈ করছে। দেশে যে হারে বেকারত্ব সৃষ্টি হয়েছে; বেকারদের সাথে নিয়ে এখনই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলার উপযুক্ত সময়।
এ রকম আরও শত শত উদাহরণ রয়েছে অধ্যাপক ড. আহমদ শরীফের বিদ্রোহী সত্ত্বাকে ঘিরে। যেখানে অন্যায় অবিচার অনাচার দেখেছেন সেখানেই তিনি বীরদর্পে কখনও ব্যক্তিগতভাবে- কখনওবা প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে প্রতিবাদ প্রতিরোধে হয়েছিলেন সোচ্চার।এই ক্ষণজন্মা মানুষটির দ্রোহী চেতনাকে স্মরণ করে তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। ( লেখক: হাসান ফকরী, কবি, গীতিকার ও সংস্কৃতিকর্মী)