শহীদ মিনারে ড. মোশাররফ:: ভাষা আন্দোলনের চেতনা ধ্বংস করেছে আ.লীগ
প্রান্তডেস্ক:বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আজকে স্বাধীনতার ৫১ বছর পরে যারা দেশ পরিচালনা করছে, তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও ভাষা আন্দোলনের চেতনা আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি এসব কথা বলেন। শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের আগে বিএনপি নেতারা আজিমপুরে ভাষা শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের দাবি, জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করে, অবৈধ সংসদ বাতিল করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে একটি নির্বাচন দিতে হবে।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমরা সাড়ে ৭টায় সময় বলাকা ভবনের সামনে থেকে প্রভাতফেরি শুরু করে সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সামনে ৮টার সময় থেকে দাঁড়িয়ে আছি। আমরা পৌনে ৫ ঘণ্টা অপেক্ষা করে মূল বেদির কাছে আসতে পেরেছি। এখানে কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের নাম বারবার উচ্চারণ করা হয়েছে। তারা বারবার ঘুরে এসে অযথা সময় নষ্ট করেছে।
তিনি আরো বলেন, এখানে যারা প্রশাসনের দায়িত্বে ছিলেন, এটা তাদের ব্যর্থতা। এখানে দলবাজি হয়েছে। মহান একুশে ফেব্রুয়ারিতে আজকে দলবাজি হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। তারা আমাদের ইচ্ছাকৃতভাবে বিলম্বিত করেছে।
‘আওয়ামী লীগ বাকশাল করেনি’ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে মোশাররফ হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ বাকশাল করেনি এটা হাস্যকর, এর চেয়ে হাস্যকর কথা আর হতে পারে না। তারা বরাবরই ইতিহাস বিকৃতি করেছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান ও আব্দুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন নবী খান সোহেল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, শামা ওবায়েদ, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপির স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, বিএনপি নেতা সেলিম রেজা হাবিব, নাজিম উদ্দিন আলম, হেলেন জেরিন খান, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, হারুন অর রশিদ, রফিক সিকদার, রফিকুল আলম মজনু, অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম তালুকদার, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, মহিলা দল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অন্যান্য সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা।