সর্দারকে ধরতে শ্রমিককে শেকলে বন্দি, চলছে নির্যাতন
প্রান্তডেস্ক:বর্ষা মৌসুমে অভাবে পড়ে গুরুদাসপুরের মেসার্স এএসবি ব্রিকস নামের একটি ইটভাটা থেকে অগ্রিম ১৫ হাজার টাকা নিয়ে শ্রম বিক্রি করেছিলে শ্রমিক রাম বসাক (৩৫)। গত চার মাসে আগে কাজ শুরু করে মালিককে সেই টাকা শোধও করে দিয়েছেন। তবে শ্রমিক সর্দার ওই ইটভাটা থেকে কিছু শ্রমিক নিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ায় মালিক তাকে শেকলে বন্দি করে রেখেছেন। অভিযোগ পাওয়া গেছে তাকে শারীরিক নির্যাতনও করা হচ্ছে। তার বাবা ছুটু বসাক গুরুদাসপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ।অভিযুক্ত এএসবি ব্রিকসের মালিকের নাম আব্দুর রহিম মোল্লা। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা। তার ছেলে আলমগীর মোল্লা ও ভাতিজা ছাবলু ওই শ্রমিককে শিকলে বেঁধে নির্যাতন চালিয়েছেন।নির্যাতনের শিকার শ্রমিক রাম বসাক জানান- সর্দার সিরাজুলসহ কিছু শ্রমিক চলে যাওয়ায় তাকে শেকলবন্দি করে নির্যাতন করা হচ্ছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- গুরুদাসপুরের শাহাপুর গ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম মোল্লার মেসার্স এএসবি ব্রিকস নামের ইটভাটাটিও অবৈধ। সেখানে অগ্রিম বিক্রি করা শ্রম কাজের মাধ্যমে পরিশোধ করছিলেন পাশের তাড়াশ উপজেলার ছুটু বসাকের ছেলে রাম বসাক। ওই উপজেলারই শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা সিরাজুল ইসলাম এই ইটভাটার শ্রমিক সর্দারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।মেসার্স এএসবি ব্রিকসের মালিক আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম মোল্লা দাবি করেন- ‘তার ভাটায় কাজ করার জন্য শ্রমিক সর্দার সিরাজুল ইসলাম অগ্রিম ১৫ লাখ টাকা নিয়ে ছিলেন। এর মধ্যে শ্রমিকের কাজ করার মাধ্যমে ৯ লাখ টাকা পরিশোধ করে পালিয়েছেন। তবে যাকে শেকলে বেঁধে রাখা হয়েছে তিনি শ্রমিক হলেও সর্দারকে ধরতেই তাকে আটকে রাখা হয়েছে।’গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোজাহারুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।