অভিশংসন থেকে ট্রাম্পকে বাঁচিয়ে দিল সিনেট
প্রান্তডেস্ক:অভিশংসনের অভিযোগ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে বেকসুর খালাস দিয়েছে দেশটির কংগ্রেসের উচ্চকক্ষ সিনেট। তার বিরুদ্ধে আনা দুটি অভিযোগই নাকচ করে দিয়েছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ সিনেটররা।বুধবারের ঐতিহাসিক এই ভোটে ইউক্রেন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম এই প্রেসিডেন্টকে অভিশংসিত না করার সিদ্ধান্ত নেয় সিনেট।ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টি সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ। ফলে তিনি এখানে পার পেয়ে যান। যদিও ডেমোক্র্যাট নিয়ন্ত্রিত নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে তাকে অভিশংসিত করা হয়েছিল।বিবিসি জানায়, ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ থেকে একশ’ সদস্যের সিনেটে ৫২-৪৮ ভোটে খালাস পান ট্রাম্প। আর কংগ্রেসের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ থেকে আরও এক ভোট বেশি পেয়ে রেহাই পান তিনি।ক্ষমতার অপব্যবহারসহ এই দুই অভিযোগে ডিসেম্বরে প্রতিনিধি পরিষদের ভোটে অভিশংসিত হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে সিনেটে তার দল সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় তিনি পার পেয়ে যাবেন বলেই ধারণা করা হয়েছিল।অবশ্য ট্রাম্পই যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রেসিডেন্ট যিনি প্রতিনিধি পরিষদে অভিশংসিত হয়েও আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে লড়তে যাচ্ছেন। ‘শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদের উত্থান’ এবং শক্তিশালী ডেমোক্র্যাট প্রার্থী না থাকায় দ্বিতীয় মেয়াদেও তিনি জয় পেতে যাচ্ছেন এমনটাই মনে করা হচ্ছে।যদি দুটি অভিযোগের কোনো একটিতে ট্রাম্প অভিশংসিত হতেন তাহলে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বাকি সময়ের জন্য হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব পেতেন।প্রসঙ্গত, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বিতর্কিত ফোনালাপ নিয়ে ট্রাম্পের অভিশংসনের মুখে পড়ার এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচনের আগে বিপাকে পড়েন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০২০ সালের নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টি থেকে প্রেসিডেন্ট মনোনয়ন প্রার্থী জো বাইডেনকে কালিমালিপ্ত করতে ট্রাম্প বিদেশি সাহায্য চেয়েছেন এবং এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনকে দেওয়া সামরিক সহায়তাকে তিনি দর-কষাকষির হাতিয়ার করেছেন।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে ফোনালাপের কয়েক দিন আগে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের মার্কিন সামরিক সহায়তা আটকে দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন ট্রাম্প। তবে বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টকে চাপ দেওয়ার কথা অস্বীকার করেন তিনি।জো বাইডেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ভাইস প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ২০১৬ সালে ইউক্রেনের প্রসিকিউটর ভিক্টর শোকিনকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার পেছনে তার ভূমিকা ছিল।শোকিনের অফিস বুরিস্মা নামের একটি গ্যাস কোম্পানির অনিয়ম তদন্ত শুরু করেছিলেন, যে কোম্পানির বোর্ড সদস্য ছিলেন বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেন।