ইসিতে আওয়ামী লীগ বিএনপি বিশেষ দেশের মাতব্বরি নয়
এইচ টি ইমাম বলেন, মান্যবর রাষ্ট্রদূতদের যথেষ্ট সম্মান করি। বাংলাদেশের মতো এত আদর-যত্ন কেউ করে না। সেটা তো অব্যাহত থাকবে। কিন্তু আতিথেয়তা মানে এই নয় যে কেউ সেটির সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি করবে। ডিপ্লোম্যাটদের জন্য যে নিয়ম-কানুন, সেটা দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ক্ষেত্রে ‘প্রযোজ্য হতে পারে না’ বলে স্মরণ করিয়ে দেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এইচ টি ইমাম।
তিনি বলেন, তাদের কোনো কূটনৈতিক দায়মুক্তিও নেই। কাজেই তাদের বেলায় আইন-কানুন যেভাবে আছে সেভাবেই যেন পালন করা হয়। তারা অনেক কিছু করতে পারবে কিংবা যেখানে-সেখানে যেতে পারবে তা মনে করার সুযোগ নেই।নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেও ভোটের দিন বিএনপি কর্মীরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে পারে বলে শঙ্কার কথা জানান এইচ টি ইমাম। তিনি বলেন, ভোট গ্রহণের আগমুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সার্বিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য এসেছি। কীভাবে তাদের সহযোগিতা করতে পারি, শান্তি-শৃঙ্খলা যাতে বজায় থাকে। সার্বিক অবস্থা ভালো, আমাদের সহযোগিতার জন্যই এমনটি হয়েছে। আমরা চাই নির্বাচন যেন সুষ্ঠু হয়। ২০১৪ ও ২০১৫ সালের ‘অগ্নিসন্ত্রাসের হোতাদের’ ঢাকা শহরের অনেক জায়গায় আশ্রয় নেওয়ার তথ্য রয়েছে দাবি করে এইচ টি ইমাম বলেন, ‘তাদের ওপরে কড়া নজর রাখতে হবে। প্রয়োজন হলে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে কোনোভাবেই অবনতি না হয়। এখন যে সুন্দর পরিবেশ আছে তা বজায় রাখতে হবে। গত কয়েকটি নির্বাচনে মাঝপথে বিএনপির ভোট বর্জনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো- চেয়ারম্যান বলেন, অতীতে দেখেছি নির্বাচনে যখনই একটু পরাজয়ের ভাব দেখা দেয় তখন তারা বর্জনের কথা বলেছে। এ ধরনের সুযোগ আর দেওয়া ঠিক হবে না।