প্রান্তডেস্ক: :: বদর উদ্দিন আহমদ কামরান-আজাদুর রহমান আজাদ। প্রথমজন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি। আর দ্বিতীয়জন তিনবারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। রাজনীতির মাঠে এ দুইনেতার পরিচিতি গুরু-শিষ্যের। কামরানের সুসময়ে-দু:সময়ে পাশে থাকেন আজাদ। বটবৃক্ষের মতো ছায়া দিয়ে আজাদকেও আগলে রাখেন কামরান। কিন্তু গুরু-শিষ্যের এই মধুর সম্পর্কের উল্টোটা দেখা গেল আজ শনিবার শহীদমিনারে। ফুল দেয়া নিয়ে দুইনেতার মধ্যে বাকবিতন্ডা- এমন দৃশ্য উপস্থিত অনেকের কাছেই মনে হয়েছে অবিশ্বাস্য। তবে শেষ পর্যন্ত মান-অভিমান ভেঙে কামরান-আজাদ ফুল দিয়েছেন একসাথে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের জন্য সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত সময় ছিল সকাল ৮টা। সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহীদ মিনারে আসেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ও সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদসহ কয়েকজন নেতাকর্মী। ৮টা বাজার ২ মিনিট আগে কামরান-আসাদের নেতৃত্বে উপস্থিত নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।
কামরান শহীদবেদী থেকে নেমে আসার সময় বেশ কিছুসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ।
নির্ধারিত সময়ের আগেই শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করায় ক্ষুব্ধ হন আজাদ। ক্ষোভ ঝাড়েন কামরানের উপর। এসময় গুরু-শিষ্যের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপে শান্ত হন আজাদ। এর কিছুক্ষণ পর আজাদের অনুসারীরা চৌহাট্টা পয়েন্ট থেকে নিয়ে আসেন শ্রদ্ধাঞ্জলি। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে নিজের নাম লেখা শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের সময় আজাদের পাশে দাঁড়ান কামরান। হাসিমুখে গুরু-শিষ্য শহীদ মিনারে আবারও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। মান ভাঙে গুরু-শিষ্যের। হাসিমুখে শহীদ মিনার ত্যাগ করেন দু’নেতা।