এই দিনে::২৪ মে
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মে, ২০২৩ ৪:২৭ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ১৯ বার পঠিত
সাহিত্যিক ও মার্কসবাদী আন্দোলনের কর্মী সোমেন চন্দ ১৯২০ সালের ২৪ মে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার ঢাকা জেলার নরসিংদী মহকুমায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩৬ সালে তিনি ঢাকার পোগোজ স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ১৯৩৭ সালে তিনি ঢাকা মিটফোর্ড মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন; কিন্তু খারাপ স্বাস্থ্যের কারণে পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারেননি। এ সময় তিনি প্রগতি লেখক সংঘে যোগদান করেন এবং মার্কসবাদী রাজনীতি ও সাহিত্য আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। গণসাহিত্য নিয়ে কাজের জন্য সোমেন চন্দ স্মরণীয় হয়ে আছেন। ১৯৪১ সালে তিনি প্রগতি লেখক সংঘের সম্পাদক নির্বাচিত হন। তার লেখা সাধারণত প্রগতি লেখক সংঘের সাপ্তাহিক বা পাক্ষিক সভায় পাঠ করা হতো। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি ‘বন্যা’ উপন্যাসটি লেখেন। ১৯৪০ সালে তার ‘বনস্পতি’ গল্পটি ক্রান্তি পত্রিকায় ছাপা হয়। ১৯৭৩ সালে রণেশ দাশগুপ্ত তার গল্প নিয়ে একটি সংকলন সম্পাদনা করেন। তার ‘ইঁদুর’ গল্পটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ইঁদুর ছাড়াও সংকেত, বনস্পতি, দাঙ্গা, সত্যবতীর বিদায়, উৎসব, মুখোশ ইত্যাদি তার বিখ্যাত গল্প। একটি উপন্যাস, ২৮টি গল্প, তিনটি কবিতা, দুটি নাটকসহ তার লেখা চিঠির সংকলনও প্রকাশিত হয়েছে। সোমেন চন্দের নামানুসারে পুরস্কারের প্রবর্তন করে কলকাতার বাংলা আকাদেমি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন রাজনৈতিক ডামাডোলের মধ্যে ঢাকার সূত্রাপুরের সেবাশ্রমের কাছে তিনি হামলার শিকার হন। তখন তিনি সোভিয়েত সুহৃদ সমিতির উদ্যোগে রেলওয়ের কর্মীদের একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। সেখানেই ১৯৪২ সালের ৮ মার্চ তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর প্রগতি লেখক সংঘ ‘প্রতিরোধ’ নামে একটি বিশেষ সংখ্যা প্রকাশ করে।