পাঞ্চেন লামাকে ফিরে পেতে ২৮ বছর ধরে প্রার্থনা করে আসছেন তিব্বতিরা
প্রান্তডেস্ক: ভারতের মহারাষ্ট্রের গোন্দিয়া জেলার নরগেইলিং শিবিরের তিব্বতি শরণার্থীরা বুধবার ভোরে জড়ো হয়েছিলেন তাদের ক্যাম্প অফিসে। তিব্বতি ইতিহাসের একটি কালো অধ্যায়ের বর্ষপূর্তিতে তারা সেখানে সমবেত হয়েছিলেন। আর সেই দুঃসহ স্মৃতি হলো গেধুন চোয়েকি নাইমা বা একাদশ পাঞ্চেন লামার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা।
পাঞ্চেন লামা তিব্বতি বৌদ্ধধর্মের একজন অত্যন্ত পবিত্র এবং শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব। গেধুন চোয়েকি নাইমাকে তাদের একাদশ পাঞ্চেন লামা ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৫ সালে ১৭ মে তিনি নিখোঁজ হন, তখন তার বয়স ছিল মাত্র ছয় বছর। ওই ঘটনার ২৮ বছর পূর্তিতে নরগেইলিং শিবিরের সমবেত হয়ে দিনটিকে স্মরণ করেন তিব্বতিরা।
এএনআই জানিয়েছে, ১৯৫৯ সাল থেকে তিব্বত দখলে নেওয়ার জন্য চীন সেখানকার তিব্বতি বৌদ্ধদের জোরপূর্বক অভিবাসনে বাধ্য করছে। কয়েক দশকের নিরলস প্রচেষ্ঠার মধ্যে ১৯৯৫ সালে ১৭ মে নিখোঁজ জন একাদশ পাঞ্চেন লামা। ওই ঘটনার পর ২৮ বছর চলে গেছে।
এই নিখোঁজের কারণ ছিল, চীন দশম পাঞ্চেন লামাকে তাদের মতো করে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। কিন্তু তিনি চীনা সরকারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করেছিলেন। পরবর্তীতে চীন সরকার মৌলিক মানবিক মূল্যবোধকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে শিশু বয়সেই একাদশ পঞ্চেন লামাকে আটক করে। এরপর থেকে এখন পর্যন্ত তার কোনো হদিস পায়নি তিব্বতিরা।
যদিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তার কিছু ছবি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু এরপরও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় একাদশ পাঞ্চেন লামাকে সর্বকনিষ্ঠ রাজনৈতিক বন্দী হিসেবে অভিহিত করে থাকে। বছরের বুদ্ধের শিক্ষা অনুসারে তারা শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ করে আসছে।