কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া, উপমুখ্যমন্ত্রী শিবকুমার
প্রান্তডেস্ক:সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে কর্ণাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী চূড়ান্ত করেছে কংগ্রেস। নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সিদ্দারামাইয়া এবং উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেয়া হয়েছে ডি কে শিবকুমারকে।
দিল্লির কংগ্রেস সদর দপ্তরে এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন এআইসিসির সাংগঠনিক সম্পাদক কে সি বেনুগোপাল। তার সঙ্গে ছিলেন কর্ণাটকের দায়িত্বপ্রাপ্ত এআইসিসি নেতা রণদীপ সুরযেওয়ালা। আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নাম ঘোষণা করবেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাগড়ে।কর্ণাটকের বিধানসভায় জয়ের পরও অস্বস্তি কাটছিল না ভারতের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলটির। কে হবেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী? এ নিয়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। রাজ্যের নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন এ নিয়ে দফায় দফায় আলোচনায় বসছিলেন তারা। অবশেষে চার দিন পর তারা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছান।কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর ৭৬ বছরের সিদ্দারামাইয়া সংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘দলের পক্ষ থেকে যা বলা হয়েছে, তা আমারও মতো। এর বাইরে আর কিছু বলার নেই।’
শিবকুমার একটি টুইট করেছেন। তাতে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও সিদ্দারামাইয়ার সঙ্গে একটি ছবির নিচে লেখা হয়েছে, ‘কর্ণাটকের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত। রাজ্যবাসীর কল্যাণ আমাদের অগ্রাধিকার। তা নিশ্চিত করতে আমরা ঐক্যবদ্ধ।’
মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবিতে ৬১ বছরের শিবকুমার গোঁ ধরে ছিলেন। তার যুক্তি, দলকে জেতানোর অঙ্গীকার তিনি করেছিলেন। সেটা তিনি রক্ষাও করেছেন। তাছাড়া একই ব্যক্তি কেন বারবার মুখ্যমন্ত্রী হবেন? তবে সেই সঙ্গে তিনি এ কথাও জানিয়েছিলেন, দলের সিদ্ধান্ত যাই হোক, তিনি বিদ্রোহ করবেন না। ব্ল্যাকমেইল করবেন না। কাউকে পেছন থেকে ছুরিও মারবেন না।
সিদ্দারামাইয়ার পক্ষে আবার অধিকাংশ বিধায়কের সমর্থন রয়েছে। কংগ্রেসের খবর অনুযায়ী, ১৩৫ বিধায়কের মধ্যে ৮৫ জনই সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে আগ্রহী।
কেন মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ে চার দিন লাগল এমন প্রশ্ন সংবাদ সম্মেলনে বারবার ওঠে।
বেনুগোপাল উত্তরে বলেন, ‘আমরা সবসময় চেয়েছি সবার সঙ্গে কথা বলে মতৈক্যে পৌঁছতে।’ তিনি বলেন, ‘সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার দুজনেই মুখ্যমন্ত্রী পদে যোগ্য। তারা ছাড়াও নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্য বা অধিকারী আরও রয়েছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী একজনই হবেন। সে জন্য গণতান্ত্রিকভাবে সর্বসম্মত হতে কিছুটা সময় লেগেছে। শেষ পর্যন্ত কংগ্রেস সভাপতি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।’
এই ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কংগ্রেস নেতারা এ কথাও বুঝিয়ে দিলেন, ভবিষ্যতে কী হবে, সেটা পরের কথা। আপাতত মুখ্যমন্ত্রী পদ ভাগাভাগির প্রশ্ন নেই। বেনুগোপাল এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘ক্ষমতা ভাগাভাগির অর্থ হলো রাজ্যের মানুষের সঙ্গে ক্ষমতার আদান প্রদান।’ মনে করা হচ্ছে, এখনই ওই প্রশ্নে না গিয়ে বিষয়টি ঝুলিয়ে রাখা হচ্ছে।