এই দিনে:১৮ মে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ মে, ২০২৩ ৩:৫৪ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ২১ বার পঠিত
১৯৩৪ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন চারণকবি মুকুন্দ দাস। ১৮৭৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বিক্রমপুরের বানারী গ্রামে জন্ম। পিতৃপ্রদত্ত নাম যজ্ঞেশ্বর। বাবা গুরুদয়াল দে, মা শ্যামাসুন্দরী। পদ্মা নদীতে বানারী গ্রাম নিশ্চিহ্ন হলে গুরুদয়াল সপরিবারে বরিশালে চলে আসেন এবং আদালতে আরদালির চাকরি নেন। পাশাপাশি একটি মুদির দোকান করেন। মুকুন্দ দাস বরিশাল জিলা স্কুল ও ব্রজমোহন স্কুলে পড়াশোনা করলেও প্রবেশিকা পাস করেননি। বাবার মুদির দোকানে দোকানদারি করা ও যুবকদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়াই ছিল তার প্রাক-শিল্পীজীবনের কাজ। ১৯ বছর বয়সে বীরেশ্বর গুপ্ত নামে এক বৈষ্ণবের গান শুনে তিনি কীর্তনের দলে যোগ দেন। ১৯০২ সালে দীক্ষা নেন রামানন্দ গোসাঁইজি বা হরিবোলানন্দ নামে এক ত্যাগী সন্ন্যাসীর কাছে। এরপর পারিবারিক নাম বাদ দিয়ে তার নাম ‘মুকুন্দ দাস’ রাখা হয়। বরিশালে অশ্বিনীকুমার দত্তের কাছে স্বদেশি মন্ত্রের দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। এরপর চারণকবিরূপে আত্মপ্রকাশ করেন। দেশাত্মবোধক সংগীত ও নাটক রচনা করেছেন। ‘স্বদেশি যাত্রা’ নামে এক অভিনব যাত্রার উদ্ভাবক, প্রবর্তক, প্রচারকও ছিলেন। ইংরেজ সরকারের কোপানলে পড়ে ১৯০৮ সালে গ্রেপ্তার হন এবং পরে জামিন পান। ‘মাতৃপূজা’ গীত সংকলনে ইংরেজবিদ্বেষী গান প্রকাশিত হওয়ায় আবার তার তিন বছর কারাদণ্ড ও জরিমানা হয়। অসহযোগ আন্দোলন, আইন অমান্য আন্দোলনের সময় তিনি যাত্রাপালা পরিবেশন করে জনসাধারণের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত করেন। তার রচনার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘সাধনসংগীত’, ‘পল্লীসেবা’, ‘ব্রহ্মচারিণী’, ‘পথ’, ‘সাথী’, ‘সমাজ’, ‘কর্মক্ষেত্র’ ইত্যাদি।