এই দিনে:১৫ মে
প্রকাশিত হয়েছে : ১৫ মে, ২০২৩ ৩:২০ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ২১ বার পঠিত
সাগর সেনের জন্ম ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ১৫ মে ফরিদপুরের এক রাজপরিবারে। তিনি বিজনবিহারী সেন ও নয়নমঞ্জরী পসনের কনিষ্ঠ পুত্র। শৈশব কেটেছে বাংলাদেশে। তার জীবিকা বলতে মুখ্যত ছিল গান। এছাড়া কলকাতা করপোরেশনের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংগীত শিক্ষক হিসেবে আমৃত্যু যুক্ত ছিলেন। সাগর সেন প্রধানত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী হিসেবে বেশি পরিচিত। ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে অল ইন্ডিয়া রেডিও তথা আকাশবাণীতে গাওয়া রবীন্দ্র সংগীতের প্রথম রেকর্ডিং হয়। সন্তোষ সেনগুপ্ত পরিচালিত রবীন্দ্র গীতিনাট্য- ‘শাপমোচন’ (১৯৬৬) এবং ‘বাল্মীকি প্রতিভা’য় (১৯৬৭) কণ্ঠদান করেন। ১৯৬৮ সালে রবীন্দ্র নৃত্যনাট্য ‘মায়াার খেলা’য় তার গাওয়া ‘আমি জেনে শুনে বিষ করেছি পান’ তাকে রবীন্দ্র সংগীতের খ্যাতনামা শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠা দেয়। এরপর ১৯৬৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি কলকাতায় স্থাপন করেন নিজস্ব সংগীত বিদ্যালয়- ‘রবিরশ্মি’। ১৯৭৫ খ্রিস্টাব্দের আগস্টে কলকাতা দূরদর্শনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রথম সংগীত পরিবেশনার সম্মান পান। তার সঙ্গে ছিলেন বিখ্যাত রবীন্দ্র সংগীত শিল্পী সুমিত্রা সেন। দ্বৈত কণ্ঠে গেয়েছিলেন আজি এ আনন্দসন্ধ্যা। সাগর সেন পরিবেশন করেছিলেন- আকাশ ভরা সূর্য তারা, বিশ্বভরা প্রাণ। বিদেশে সংগীত পরিবেশনের জন্য ১৯৬২ সালে বার্মায়, বাংলাদেশে তিন বার এবং ১৯৭৬ সালে টেগোর মিউজিক সোসাইটির আমন্ত্রণে কানাডা, আমেরিকা ও সুইজারল্যান্ড গিয়েছেন। ‘পরিচয়’ চলচ্চিত্রে ‘আজ জ্যোৎস্নারাতে সবাই গেছে বনে’ গানটির জন্য ১৯৭৯ সালের নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী হিসেবে বাংলা চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি পুরস্কার বা বিএফজিএ লাভ করেন। সাগর সেন ১৯৬২ খ্রিস্টাব্দে সুমিত্রা সেনকে বিয়ে করেন। তাদের ৩ পুত্রসন্তান। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে ১৯৮৩ সালের ৪ জানুয়ারি মাত্র ৫০ বছর বয়সে মারা যান, রবীন্দ্র সংগীতের অসাধারণ সুরকণ্ঠের এই শিল্পী।