উল্লেখ্য, ৮৭ বছর বয়সী নজরুল পুত্রবধূ কল্যাণী কাজী শুক্রবার (১২ মে) স্থানীয় সময় ভোর পাঁচটার দিকে কলকাতার একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)। দীর্ঘদিনে ধরে অসুস্থতায় ভুগছিলেন কল্যাণী কাজী। তিনি জাতীয় কবির ছোট ছেলে প্রয়াত কাজী অনিরুদ্ধের স্ত্রী। বিভিন্ন সময়ে তার বর্ণনা উঠে এসেছে বিদ্রোহী কবির জীবনের নানান পর্ব।
প্রসঙ্গত, ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত ছিলেন কল্যাণী। সম্প্রতি এর সঙ্গে যুক্ত হয় নিউমোনিয়া। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাখা ভেন্টিলেশনেও হয়। কিন্তু শুক্রবার ভোরে থেমে যায় হৃদযন্ত্র। কল্যাণী কাজীর মেয়ে অনিন্দিতা কাজী যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি থেকে কলকাতায় পৌঁছান শনিবার (১৩ মে)। এরপর রোববার (১৪ মে) কলকাতার নাগরিক সমাজের পক্ষে শোক ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে কলকাতার পার্ক সার্কাস গোরস্তানে সমাহিত করা হয়।
ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি শিল্পী সোমঋতা মল্লিক জানান, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার ২০১৫ সালে কল্যাণী কাজীকে ‘সংগীত মহাসম্মান’ স্বীকৃতি দেয়। তিনি পশ্চিমবঙ্গ কাজী নজরুল ইসলাম আকাদেমির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন। তদুপরি তিনি ছিলেন আমাদের অভিভাবক। নজরুলচর্চায় তাঁর অনুপ্রেরণা আমাদেরকে নিত্য প্রণোদিত করেছে।
আগামী ১৮মে (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৪:৩০ মিনিটে শরৎচন্দ্র বাসভবনে ছায়ানট (কলকাতা)-এর উদ্যোগে কল্যাণী কাজীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হবে।