বিএনপিকে ওবায়দুল কাদের::‘আমরাও দেখে নেব কারা নির্বাচন রুখে দেয়’
আজ রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় তিনি এসব কথা বলেন।ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি ও তার দোসররা রাজনৈতিক ঝড় তুলে শেখ হাসিনার সরকারকে পতনের কথা বলছে। বাস্তবতা হচ্ছে কোনো আন্দোলন করা, ঝড় তোলার সামর্থ্য তাদের নেই বলেই আজ গলাবাজি করে নিজের অক্ষমতাকে ঢাকতে চাচ্ছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ কচু পাতার ওপর ভোরের শিশির বিন্দু নয়। বিএনপির যেকোনো কূটকৌশল সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করা হবে।’
সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিদেশি দূতাবাসগুলোতে নালিশ করার প্রবণতা বিএনপির। দেশকে ছোট করে বিদেশিদের ইচ্ছায় বাংলাদেশে নির্বাচন হবে- এমন অবান্তর ধারণা নিয়ে আছে বিএনপি।
আগামী নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে চান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমরা চাই দেশে শান্তির বাতাবরণ বিরাজ করুক। আজকে দেশ দুটি ধারায় বিভক্ত। একদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারা, অপরদিকে সাম্প্রদায়িক ধারা- যার নেতৃত্ব দিচ্ছে বিএনপি।’
বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের কর্মসূচিতে মানুষ বিভ্রান্ত হয়নি উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আজ তাদের নেতাকর্মীরা বুঝে গেছেন মুখের গলাবাজি বাস্তবে মরিচিকা। আন্দোলনের পথরেখা থেকে নিজেরা সরে গেছেন। তাদের জোটে অনৈক্য। উইকেটের পতন ঘটছে। এখন ১৪/১৫টা দল আছে মনে হয়। তাদের নেতা নেই। নেতা ছাড়া আন্দোলন দুঃস্বপ্ন। কী কর্মসূচি দেবে তা ভেবে তারা দিশেহারা।’
নির্বাচন পর্যন্ত সারাদেশে নেতাকর্মীরা পাহারায় থাকবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘তারা যতই হুমকি-ধামকি দিক, আমরা আমাদের কর্মসূচিতে অবিচল আছি। ২০১৩-১৪ সালের মতো তারা আগুন সন্ত্রাসের কূটকৌশল নিয়ে এগোতে পারে। কিন্তু আমরা সতর্ক আছি। বাংলাদেশে শান্তি বিনষ্টকারী কূটকৌশল প্রতিরোধে আমরা সতর্ক আছি।’
ঘূর্ণিঝড়ে যেসব এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা, সেখানকার লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী খোঁজখবর নিচ্ছেন ও দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন বলেও সভায় জানান ওবায়দুল কাদের।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সহ সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।