এই দিনে:২৪ মার্চ
প্রকাশিত হয়েছে : ২৪ মার্চ, ২০২৩ ১:২৪ অপরাহ্ণ | সংবাদটি ৭০ বার পঠিত
মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল কাজী নূর-উজ্জামান যশোরে ১৯২৫ সালের ২৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৩৯ সালে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ম্যাট্রিকুলেশন এবং ১৯৪১ সালে আইএসসি পাস করেন। ১৯৪৩ সালে কাজী নূর-উজ্জামান রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভিতে যোগ দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনি বার্মা এবং সুমাত্রায় মিত্রশক্তির পক্ষে যুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৪৬ সালে তিনি প-িত জওহরলাল নেহরুর আহ্বানে রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভি থেকে আর্মিতে চাকরি স্থানান্তর করে রয়্যাল ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে যোগ দেন। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর কাজী নূর-উজ্জামান পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। কাজী নূর-উজ্জামান ১৯৫৬ সালে মেজর পদে পদোন্নতি লাভ করেন এবং ১৯৫৮ সালে স্টাফ কলেজ সম্পন্ন করেন। ১৯৬২ সালে তিনি প্রেষণে ইস্ট পাকিস্তান ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনে (ইপিআইডিসি) যোগ দেন। এখানে পশ্চিম পাকিস্তানি আমলাদের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দিলে ১৯৬৯ সালে তিনি চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন এবং ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী গণহত্যা শুরু করলে কাজী নূর-উজ্জামান ২৮ মার্চ দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক কাজী সফিউল্লাহর ব্যাটালিয়নে (ময়মনসিংহ) যোগ দেন। ১৯৭১ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ৭ নম্বর সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার মেজর নাজমুল হক ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হলে কাজী নূর-উজ্জামান ৭ নম্বর সেক্টরের কমান্ডারের দায়িত্ব লাভ করেন। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন। কাজী নূর-উজ্জামান মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সমন্বয়ক ও আহ্বায়ক হিসেবে গঠন করেন ফ্যাসিবাদবিরোধী গণতান্ত্রিক কমিটি। তিনি স্বদেশ চিন্তা সংঘ, লেখক শিবির ও গণসংস্কৃতি ফ্রন্টের সদস্য ছিলেন। স্বাধীনতা লাভের পরপরই কাজী নূর-উজ্জামান যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলেন। আশির দশকে তিনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি ছিলেন। জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে রাজপথের আন্দোলনে তিনি সরাসরি অংশ নেন। ২০০৭ সালে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম গঠনে তার অগ্রণী ভূমিকা ছিল। ২০১১ সালের ৬ মে ঢাকায় তার মৃত্যু হয়।