এই দিনে:৬ ফেব্রুয়ারি
১৯৭৬ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন বিখ্যাত বাঙালি লেখক, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋত্বিক কুমার ঘটক। তার জন্ম ১৯২৫ সালে ঢাকা শহরে। প্রখর রাজনৈতিক চেতনাসমৃদ্ধ ব্যক্তিত্ব ঋত্বিকের কর্ম ও সৃজনক্ষেত্রের পরিধি চলচ্চিত্র পরিচালনা ও কথাসাহিত্যে সীমিত নয়। তিনি ভারতের পুনে ফিল্ম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেছেন দীর্ঘকাল। প্রথম জীবনে তিনি কবি ও গল্পকার, তারপর নাট্যকার, নাট্যপরিচালক, অবশেষে চলচ্চিত্রকার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন। অল্প বয়সেই তিনি দেশ, শনিবারের চিঠি, অগ্রণীসহ বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখির কাজ শুরু করেন। পত্রিকার পাশাপাশি মঞ্চনাটককে তিনি প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। ১৯৪৮ সালে তার লেখা প্রথম নাটক ‘কালো সায়র’। ঋত্বিক ঘটক ভারতীয় গণনাট্য সংঘের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। ঋত্বিকের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘অযান্ত্রিক’ হলেও তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্রের নাম ‘নাগরিক’। ১৯৫২ সালে নির্মিত ‘নাগরিক’ মুক্তি পেয়েছিল ঋত্বিকের মৃত্যুর এক বছর পর, ১৯৭৭ সালে। ঋত্বিক ঘটক আটটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পরিচালনা করেন। ‘অযান্ত্রিক’ ও ‘নাগরিক’ ছাড়া বাকি চলচ্চিত্রগুলো হলো বাড়ি থেকে পালিয়ে, মেঘে ডাকা তারা, কোমল গান্ধার, সুবর্ণরেখা, তিতাস একটি নদীর নাম, যুক্তি তক্কো আর গপ্পো। ২০১০ সালে ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট কর্র্তৃক তার ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ শ্রেষ্ঠ ছবি হিসেবে ১০ম স্থান অধিকার করে। তার শেষ ছবি ‘যুক্তি তক্কো আর গপ্পো’কে অনেক চলচ্চিত্র তাত্ত্বিক ‘তৃতীয় সিনেমা’ ধারার অন্তর্ভুক্ত করেছেন। ঋত্বিক ঘটক অনেক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছেন। সেগুলোর মধ্যে ‘আদিবাসী’, ‘ÔPlaces of historic interest in BiharÕ, ÔCivil Defence’, ‘আমার লেনিন’, ‘পুরুলিয়ার ছৌ’, ‘ইন্দিরা গান্ধী’ অন্যতম।