পাকিস্তানে মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ৯০

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) বার্তাসংস্থা এএফপিকে পেশোয়ার হাসপাতালের মুখপাত্র মোহাম্মদ আসিম খান অন্তত ৯০ জন নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ঘটনাস্থল থেকে আরও মৃতদেহ আসছে।’
সোমবার ওই মসজিদটিতে যোহরের নামাজ শুরু হওয়া মাত্র বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে পুলিশ সদস্যরা নামাজ আদায় করতেন। মূলত পুলিশকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছে।
হামলায় নিহত পুলিশ সদস্যদের মধ্যে ২০ জনকে মঙ্গলবার একসঙ্গে পাকিস্তানের পতাকা মোড়ানো কফিনে সমাহিত করা হয়েছে।
পাকিস্তানের সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-ই-তালেবানের (পিটিটি) এক কমান্ডার জানান, এ হামলার সঙ্গে তারা জড়িত। তবে পরবর্তীতে পিটিটি এটি অস্বীকার করে। এরপর এখন পর্যন্ত কোনো গোষ্ঠী এর দায় স্বীকার করেনি।
পেশোয়ারের যে স্থানে বোমা হামলা হয়েছে সেখানে পেশোয়ার পুলিশের সদর দপ্তর, গোয়েন্দা সংস্থা এবং কাউন্টার-টেরোরিজমের অফিস অবস্থিত। ওই এলাকাটি কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টিত হলেও হামলার দিন হামলাকারী সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে এবং আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটায়।
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের (টিটিপি) সঙ্গে ইসলামাবাদ সরকারের যুদ্ধবিরতি চুক্তি নভেম্বরে শেষ হওয়ার পর থেকে দেশটিজুড়ে সন্ত্রাসী হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোনো গোষ্ঠী পেশোয়ারের হামলার দায় স্বীকার না করলেও এর জন্য টিটিপিকেই সন্দেহ করা হচ্ছে।
এ হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘যারা পাকিস্তানের সুরক্ষায় দায়িত্ব পালন করছেন তাদের হামলার লক্ষ্যবস্তু বানিয়ে সন্ত্রাসীরা দেশ জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে।’ ‘হামলাকারীদের সঙ্গে ইসলাম ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।