এই দিনে
কথাসাহিত্যিক সরদার জয়েনউদ্দীন ১৯১৮ সালে পাবনা জেলার কামারহাটি গ্রামে এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা তাহেরউদ্দিন বিশ্বাস, মা রাবেয়া খাতুন। ১৯৩৯ সালে ম্যাট্রিক পাস করে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন। এরপর সেনাবাহিনীর হাবিলদার ক্লার্ক পদে যোগ দেন। ভারত ভাগের পর ১৯৪৭ সালে চাকরি ছেড়ে দেন। ১৯৪৮ সালে তিনি পাকিস্তান অবজারভারের বিজ্ঞাপন বিভাগে যোগ দেন। ১৯৫১ সালে দৈনিক সংবাদের বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপক নিযুক্ত হন এবং ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। একই পদে তিনি ইত্তেফাকে যোগ দেন ১৯৫৮ সালে। ১৯৬০ সালে ইস্টার্ন ফেডারেল ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে পরিদর্শক পদে যোগ দেন। ১৯৬২ থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলা একাডেমির প্রকাশন ও বিক্রয় শাখার সহকারী কর্মকর্তা ছিলেন। এরপর ন্যাশনাল বুক সেন্টারের গবেষণা কর্মকর্তা নিযুক্ত হন। এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালক নিযুক্ত হন ১৯৭২ সালে। ১৯৭৮ সালে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র থেকে বদলি হয়ে বাংলাদেশ টেক্সট বুক বোর্ডের ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ পদে যোগ দেন এবং দুই বছর পর অবসরে যান। জয়েনউদ্দীন শিশু-কিশোর ম্যাগাজিন ‘সেতারা’ ও ‘শাহীন’-এর সম্পাদক ছিলেন কিছুদিন। দীর্ঘ কর্মময় জীবনে বিচিত্র দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়েই তিনি সাহিত্য রচনা করে গেছেন। তার উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে উপন্যাস: ‘আদিগন্ত’, ‘পান্নামতি’, ‘নীল রং রক্ত’, ‘বিধ্বস্ত রোদের ঢেউ’; ছোটগল্প: ‘নয়ন ঢুলি’, ‘বীরকণ্ঠীর বিয়ে’, ‘খরস্রোত’; শিশুসাহিত্য: ‘উল্টোরাজার দেশ’, ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’, ‘অবাক অভিযান’। ‘অনেক সূর্যের আশা’ উপন্যাসের জন্য তিনি ১৯৬৭ সালে আদমজী পুরস্কার পান। কথাসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জ ন্য তিনি ১৯৬৭ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার পান। ১৯৮৬ সালের ২২ ডিসেম্বর সরদার জয়েনউদ্দীন ঢাকায় মারা যান।