আপিল বিভাগের তিন বিচারপতিকে সংবর্ধনা
প্রান্তডেস্ক:সর্বোচ্চ আদালতে সদ্য নিয়োগ পাওয়া তিন বিচারপতিকে সংবর্ধনা দিয়েছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। রবিবার আপিল বিভাগের এক নম্বর বিচার কক্ষে তাঁদের এ সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সংবর্ধনায় তিন বিচারপতির কর্ম ও জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরে তাঁদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। পরে একে একে তিন বিচারকও বক্তব্য দেন।
হাইকোর্টে বিচারিক দায়িত্ব পালন করে আসা তিন বিচারপতিকে গত ৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে আইন মন্ত্রণালয় থেকে তাঁদের নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। তিন বিচারপতি হলেন- বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন। পরে ওইদিন বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তিন বিচারপতিকে শপথ পড়ান প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এ তিন জনকে নিয়ে আপিল বিভাগে এখন ৯ জন বিচারপতি।
প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের সহকর্মীদের সঙ্গে পথচলা আনন্দময় হওয়ার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম। তিনি বলেন, আপনাদের সকলের প্রত্যাশা পূরণে শেষ দিন পর্যন্ত চেষ্টা করে যাব।
বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস মৃক্তিযুদ্ধ ও মহান স্বাধীনতাসহ এই রাষ্ট্রের যা কিছু অর্জন তার পিছনে দৃশ্যমান ছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের সুদৃঢ় ও আদর্শিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব। রাষ্ট্রের সব স্তরে নেতৃত্বের জায়গাটি আদর্শিক ও নৈতিকভাবে সঠিক ও সুদৃঢ় হলে রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে।
তিনি আরো বলেন, পরিবার থেকে রাষ্ট্রের তিনটি অংশেই সাহসী, বিচক্ষণ, দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নির্লোভ, ত্যাগী, আদর্শিক, সৎ নেতৃত্ব আজ ভীষণ প্রয়োজন। একটি জনকল্যাণকর সুখী সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক উন্নত সমাজ এবং রাষ্ট্র ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিক রূপকে স্থায়ী করতে স্বাধীন, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই।
বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম বলেন, ‘বিশ্বাস করি ঐক্যবদ্ধ কাজ যেকোনো ধরনের সংকট দূর করে সমাজ ও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যায়। এর জন্য প্রয়োজন মানবিক ভ্রাতৃত্ববোধ। সেই সঙ্গে হতে হবে নির্লোভ ও ত্যাগী। ’ সততা, নিষ্ঠা পরিশ্রম দিয়ে আগের মতোই তিনি নিজেকে বিচারিক কাজে নিয়োজিত রাখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন বিচারপতিহ জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম।সংবর্ধনার পর বিচারকাজে বসেন আপিল বিভাগ।