পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার ধুলাসার ইউনিয়নের কাউয়ার চরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার উপর এই হামলা হয় বলে নূরের ভাই নাট্যকর্মী মোহাম্মদ সাইদুর রহমান সোহেল জানিয়েছেন।
৫০ থেকে ৬০ জনের একটি দল সন্ধ্যা ৭টার দিকে হামলা চালায় জানিয়ে তিনি বলেন, “স্থানীয় সংসদ সদস্যের লোকজন অতর্কিতে আমাদের খামারে হামলা করে। এতে আমরা তিন ভাই আহত হই।“আমি নিজে হামলাকারীদের মধ্যে স্থানীয় এমপির পিএ তরিকুল মৃধাকে দেখেছি।”তবে এ বিষয়ে ওই সংসদ সদস্য বা তার অনুসারীদের কারও বক্তব্য জানাযায়নি। ঘটনার বিবরণে সোহেল বলেন, “ওই সময় ঘেরে আমরা তিন ভাইসহ মোট পাঁচজন ছিলাম। আমরা সবাই কম-বেশি আহত হয়েছি। রক্তাক্ত হয়েছি আমরা তিনজন। এর মধ্যে বাহাদুর ভাইয়ের অবস্থা সবচেয়ে বেশি খারাপ। কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার পর তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।”তার চোখে ইটের আঘাত লেগেছে এবং হাতে কব্জির নিচ থেকে ‘অর্ধেকটা কেটে গেছে’ বলে জানান তিনি।এই ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে জানিয়ে সোহেল বলেন, “আমরা নিজেরাও আওয়ামী লীগই করি। বাবা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন। গত নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান পদে দলের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এক পর্যায়ে বর্তমান এমপি এখানে তার স্ত্রীকে প্রার্থী করার চেষ্টা করে। তখন বিরোধের সূত্রপাত।“পরে অবশ্য অন্য একজন মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হন। এরপর থেকেই এমপি আমাদের সঙ্গে শত্রুতা করে আসছে। গত সংসদ নির্বাচনের আগে আমাদের ঘেরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। ওই সময় আমাদের ৫০ লাখ টাকার মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়। তখন আমরা ছয় মাস এলাকা ছাড়া ছিলাম।“আমার বাবা এলাকার ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা। এখন আমাদের সরকারের আমলেই আমাদের উপর নিপীড়ন চলছে।”সোহেল বলেন, “বাহাদুর ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও আমাদের এই কৃষি খামারের কাজ করতেন। তিনি কৃষক লীগের রাজনীতি করেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কমিটিতে ছিলেন।”ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরি সায়েন্সের ২০০৫-০৬ ব্যাচের ছাত্র বাহাদুর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের বড় একটি সময় ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তিনি ওই আন্দোলনে শিক্ষার্থী অধিকার মঞ্চের মুখপাত্রের দায়িত্বও পালন করেন।