বিশ্বকাপ জিততে ১৭৮ রান চাই যুবাদের
প্রান্তডেস্ক:ম্যাচ জুড়ে দারুণ বোলিং করা তানজিম হাসান আক্রমণে ফিরে পেলেন নিজের দ্বিতীয় উইকেট। ৪৭ ওভার ২ বলে ১৭৭ রানে গুটিয়ে গেল ভারত। ১৩ ম্যাচ পর যুব ওয়ানডেতে অলআউট হলো দলটি।
থার্ড ম্যানে সুশান্ত মিশ্রর ক্যাচ ঝাঁপিয়ে মুঠোয় জমান শরিফুল।
বাংলাদেশের বোলিং ছিল আগুনে। ফিল্ডিংয়ে শরীরি ভাষায় ছিল বারুদ। যাশাসবি জয়সাওয়ালের দারুণ ইনিংসের পরও বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি ভারত।
অভিষেক দাস ৪০ রানে নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট নেন তানজিম ও শরিফুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৭.২ ওভারে ১৭৭ (জয়সাওয়াল ৮৮, সাক্সেনা ২, ভার্মা ৩৮, গার্গ ৭, জুরেল ২২, বীর ০, আনকোলেকার ৩, বিষ্ণুই ২, সুশান্ত ৩, তিয়াগি ০, আকাশ ১*; শরিফুল ১০-১-৩১-২, তানজিম ৮.২-২-২৮-২, অভিষেক ৯-০-৪০-৩, শামীম ৬-০-৩৬-০, রকিবুল ১০-১-২৯-১, হৃদয় ৪-০-১২-০)
অভিষেকের জোড়া ধাক্কা
হাসান মুরাদের জায়গায় ফাইনালে খেলা অভিষেক আক্রমণে ফিরে দিলেন জোড়া ধাক্কা। ওভারের প্রথম বলে বোল্ড করলেন অথর্বা আনকোলেকারকে। শেষ বলে কট বিহাইন্ড করলেন কার্তিক তিয়াগিকে।
অভিষেকের শর্ট বল থার্ড ম্যানে পাঠাতে চেয়েছিলেন আনকোলেকার। ঠিক মতো খেলতে পারেননি। ব্যাটের কানায় লেগে এলোমেলো করে দেয় স্টাম্পস।
৭ বলে ৩ রান করে ফিরেন আনকোলেকার। শেষ বলে কট বিহাইন্ড হয়ে যান তিয়াগি। লেগ স্টাম্পের বলে কিপারেরে চমৎকারে ফিরেন তিয়াগি।
৪৫ ওভারে ভারতের স্কোর ১৭২/৯। ক্রিজে সুশান্ত মিশ্রর সঙ্গী আকাশ সিং।
রান আউট বিষ্ণুই
রান আউটে টানা দ্বিতীয় উইকেট হারাল ভারত। নিজের বলে ফিল্ডিং করে রান আউট করে রবি বিষ্ণুইকে ফেরালেন শরিফুল ইসলাম।
বাঁহাতি পেসারের ইন সুইং ইয়র্কার ঠিক মতো খেলতে পারেননি অর্থবা আনকোলেকার। তবুও রান নিতে ছুটেন দুই ব্যাটসম্যান। বিষ্ণুইয়ের চেয়ে কিছুটা এগিয়ে থাকা শরিফুল ছুটে গিয়ে সরাসরি থ্রোয়ে ফেলে দেন বেলস।
৬ বলে ২ রান করে ফিরেন বিষ্ণুই। ৪৪ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১৭০/৭। ক্রিজে আনকোলেকারের সঙ্গী সুশান্ত মিশ্র।
রান আউট জুরেল
জোড়া উইকেট হারানোর ধাক্কা সামাল দেওয়ার আগেই আরেকটি উইকেট হারাল ভারত। রান আউট হয়ে ফিরে গেছেন ধ্রুব জুরেল।
রকিবুল হাসানের বল জুরেল পয়েন্টের দিকে খেলার পর রান নিতে ছুটেন দুই ব্যাটসম্যান। রান সম্ভব নয় বুঝে ফিরে যান অর্থবা আনকোলেকার। শামীম হোসেনের থ্রো ধরে আকবর আলি বেলস ফেলে দেওয়ার সময় দুই ব্যাটসম্যানই ছুটেছেন নন স্ট্রাইকার প্রান্তে।
দৌড়ে জিতে টিকে যান আনকোলেকার। ৩৮ বলে এক চারে ২২ রান করে ফিরে যান জুরেল।
৪৩ ওভারে ভারতের স্কোর ১৬৯/৬। ক্রিজে আনকোলেকারের সঙ্গী রবি বিষ্ণুই।
শরিফুলের জোড়া আঘাত
দুই জনের দ্বৈরথ চলছিল প্রথম বল থেকে। অনেকবার ভোগালেও পেরে উঠছিলেন না শরিফুল ইসলাম। অবশেষে পারলেন, সেঞ্চুরির আগেই যাশাসবি জয়সাওয়ালকে ফিরিয়ে ভারতকে বড় একটা ধাক্কা দিলেন বাঁহাতি এই পেসার। পরের বলে ফিরিয়ে দিলেন সিদ্ধেশ বীরকে।
আগের বলে স্লোয়ার জায়গায় রাখতে পারেননি। বাউন্ডারি তুলে নেন জয়সাওয়াল। শরিফুলের বলে এটাই ম্যাচে প্রথম বাউন্ডারি। পরের বলটি ছিল শর্ট। ঠিক মতো পুল করতে পারেননি ভারতীয় বাঁহাতি ওপেনার। শর্ট মিডউইকেটে সহজ ক্যাচ মুঠোয় জমান তানজিদ হাসান।
১২১ বলে আট চার ও এক ছক্কায় ৮৮ রান করেন জয়সাওয়াল। পরের বলটি ছিল ফুলটস। ব্যাটে খেলতে পারেননি বীর। পান গোল্ডেন ডাকের স্বাদ।
৪০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১৫৬/৫। ক্রিজে ধ্রুব জুরেলের সঙ্গী অর্থবা আকোলেকার।
ভারত অধিনায়ককে ফেরালেন রকিবুল
ক্রিজে যাওয়ার পর থেকে রানের জন্য ছটফট করছিলেন প্রিয়ম গার্গ। ভারত অধিনায়ককে বেশিক্ষণ টিকতে দেননি রকিবুল হাসান।
বাঁহাতি স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে আলগা শটে কাভারে তানজিম হাসানের হাতে ধরা পড়েন গার্গ। ৯ বলে ফিরেন ৭ রান করে।
৩২ ওভারে ভারতের স্কোর ১১৪/৩। ক্রিজে যাশাসবি জয়সাওয়ালের সঙ্গী ধ্রুব জুরেল।
আক্রমণে ফিরে জুটি ভাঙলেন তানজিম
জুটি ভাঙার জন্য মরিয়া ছিলেন আকবর আলী। একের পর এক বোলার পাল্টাচ্ছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। অবশেষে মিলল সাফল্য। নতুন স্পেলে ফিরে জুটি ভাঙলেন তানজিম হাসান। ফিরিয়ে দিলেন তিলক ভার্মাকে।
অফ স্টাম্পের বল ছক্কায় ওড়াতে চেয়েছিলেন তিলক। পার করতে পারেননি শরিফুল ইসলামকে। সীমানায় চমৎকার এক ক্যাচ নিয়েছেন দীর্ঘদেহী এই পেসার। ভাঙে ৯৪ রানের জুটি।
তিন চারে ৬৫ বলে ৩৮ রান করেন তিলক। ক্রিজে যাশাসবি জয়সাওয়ালের সঙ্গী অধিনায়ক প্রিয়ম গার্গ। ৩০ ওভারে ভারতের স্কোর ১০৭/২।
জয়সাওয়ালের ফিফটি
টুর্নামেন্ট জুড়ে দারুণ ব্যাটিং করা যাশাসবি জয়সাওয়াল তুলে নিয়েছেন ফিফটি। সিঙ্গেল নিয়ে ৮৯ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করেন বাঁহাতি ওপেনার।
২৮ ওভারে ভারতের স্কোর ৯৫/১। জয়সাওয়াল ৫০ ও তিলক ভার্মা ৩৭ রানে ব্যাট করছেন।