সমন্বিত নয়, ঢাবির নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষা চায় ডাকসু
প্রান্তডেস্ক:সমন্বিত নয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরীক্ষার মাধ্যমেই শিক্ষার্থী ভর্তি প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু।
গতকাল(শনিবার) বিকেলে ডাকসুর কার্যনির্বাহী সভায় এই সিদ্ধান্ত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসুর সভাপতি অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সভায় ভিপি নুরুল হক নূর, জিএস গোলাম রাব্বানী, এজিএস সাদ্দাম হোসেনসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে সন্ধ্যায় জিএস রব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, “১৯৭৩ এর অধ্যাদেশ অনুযায়ী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ঐতিহ্য ও স্বকীয়তা রয়েছে, তা বজায় রাখতে নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষার পক্ষে রায় দিয়েছে ডাকসু। সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতি কোনোটিতেই যাচ্ছে না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।”
শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও অর্থ খরচ কমাতে আসন্ন নতুন শিক্ষাবর্ষ থেকেই দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মুঞ্জরি কমিশন-ইউজিসি।
গত মাসে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, “আজ দেশ ও জাতির আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে সমন্বিত পদ্ধতিতে একটি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হোক, এখানে দ্বিমতের কোনো অবকাশ নেই। আমরা যদি সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করি তাহলে দেশ ও জাতি আমাদের অভিনন্দিত করবে।”
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদাভাবে আলাদা পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয় বলে এইচএসসি পাস করা শিক্ষার্থীদের দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে ঘুরে পরীক্ষা দিতে হয়। একই বিষয়ে ভর্তি হওয়ার পরীক্ষা দিতে তাদের ভিন্ন ভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়।
এ ব্যবস্থার বদলে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা এক দিনে এক পদ্ধতিতে নেওয়ার পরিকল্পনায়েই সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতি।
এ পদ্ধতিতে একজন শিক্ষার্থী একবার পরীক্ষা দিলেই চলবে, প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে তাকে গুচ্ছে থাকা কোনো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হবে, যেভাবে মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
ডাকসুর সভায় আরও বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে জানিয়ে গোলাম রব্বানী বলেন, “মুজিববর্ষ উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যত ভাস্কর্য ও মুক্তিযুদ্ধের স্থাপনা আছে, সেগুলোর ইতিহাস ও ঐতিহ্য শিক্ষার্থীদের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য সবগুলোতে পাদটীকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পাইলট প্রজেক্টের আওতায় গণরুম সমস্যার সমাধানে প্রাথমিকভাবে পাঁচটি হলে ‘বাঙ্ক বেড’ স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।