অভ্যুত্থানের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে : ফখরুল
প্রান্তডেস্ক:বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আন্দোলনের মাধ্যমে, অভ্যুত্থানের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি কথা বলেন। খালেদা জিয়ার কারাবাসের দুই বছর পূর্তিতে বিএনপি এ সমাবেশের আয়োজন করে।মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া তার রাজনৈতিক জীবনে গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করেছেন, জেল খেটেছেন। তার মুক্তির জন্য আমরা সভা-সমাবেশ করেছি, মিছিল করেছি। এখন একটাই কথা খালেদা জিয়াকে মুক্ত করবোই এবং সরকারকে বাধ্য করব খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে।তিনি বলেন, গণতন্ত্রের আপোসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় রাজনৈতিক কারণে বন্দী রাখা হয়েছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ, নিজে খেতে পারেন না, চলতে পারে না। দুই বছর বিনা দোষে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে আটকে রাখা হয়েছে।বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার ক্ষমতায় রয়েছে জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে। এ সরকার জনগণের সরকার নয়। কারণ তাদের জনগণের ম্যান্ডেট নেই। তারা গণতান্ত্রিক চেতনাকে ধ্বংস করেছে, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের বিচার ব্যবস্থা এখন স্বাধীন নয়। দেশের প্রধান বিচারপতিকে বন্দুকের নলের মুখে দেশ ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে।তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করা হয়েছে। একদিন আগে অর্থমন্ত্রী বললেন সবদিক থেকে অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী। পরের দিন জাতীয় সংসদে বললেন অর্থনীতির অবস্থা ভালো না। এরপরও তার চাকরি থেকে কী করে?রফতানি আয় নিচের দিকে, রাজস্ব আয় কমে গেছে কিন্তু দুর্নীতি কমেনি। দুর্নীতির জন্য যুবলীগের প্রেসিডেন্টকে বাদ দিতে হয়েছে, ছাত্রলীগের প্রেসিডেন্টকে বাদ দিতে হয়েছে। জনগণ এখন আর আওয়ামী লীগকে চায় না। তারা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।’বিএনপি মহাসচিব বলেন, মাত্র ১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জনগণের মেয়র হওয়া যায় না। নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট দিন, জনগণের মেয়র নির্বাচিত করুন। নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দিন।দলের প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানীর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, আব্দুস সালাম, আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা বক্তৃতা করেন।