ঢাকা-রোম ৯ দফা যৌথ ঘোষণা
যৌথ ঘোষণায় বলা হয়, উভয় পক্ষই রোহিঙ্গা সমস্যার বিষয়ে গত ২৩ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানায়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বিশ্ব সম্প্রদায়ের সমর্থন কামনা করেছেন। বৈঠকে জিউসেপ কোঁতে ইতালির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি এই জরুরি মানবিক অবস্থা মোকাবিলায় বাংলাদেশের আতিথেয়তার নীতি অব্যাহত রাখা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎসাহ প্রদানে জাতিসংঘ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে ইতালির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সহায়তার কথা উল্লেখ করেন। যৌথ ঘোষণায় আরও বলা হয়, দুই নেতাই ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশের মধ্যে উন্নয়ন, শ্রম ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে আরও নিবিড় সহযোগিতার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন। দুই নেতা ‘এভরিথিং বাট আর্মস’ অগ্রাধিকারমূলক শুল্ক নীতির আওতায় ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির গুরুত্বকে স্বীকৃতি দেন।পোপ-শেখ হাসিনা কুশলবিনিময় : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল ভ্যাটিকান সিটিতে ক্যাথোলিক খ্রিস্টানদের আধ্যাত্মিক নেতা পোপ ফ্রান্সিসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। পরে প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী সকালে ইতালির রাজধানী রোমের কাছে অবস্থিত ভ্যাটিকান সিটি যান এবং পোপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছু সময় অবস্থান করেন এবং পোপের সঙ্গে কুশলবিনিময় করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা ও তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
পরে বিকালে শেখ হাসিনা একটি ট্রেনে ইতালির মিলান নগরীর উদ্দেশে রওনা দেন।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জিউসেপ কোঁতের আমন্ত্রণে গত মঙ্গলবার বিকালে চার দিনের সরকারি সফরে ইতালি পৌঁছেন। প্রধানমন্ত্রী ৭ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৪০ মিনিটে আমিরাত এয়ারলাইনসের একটি বিমানে মিলান মালপেন্সা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দেশের উদ্দেশে যাত্রা করবেন। তিনি ৮ ফেব্রুয়ারি দুবাই হয়ে বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছবেন।