একুশে পদক পেলেন মিতা হক ও জাফর ওয়াজেদ
প্রান্তডেস্ক:বিভিন্ন ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা দেশের ২০ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও একটি প্রতিষ্ঠানকে এ বছরের একুশে পদকের জন্য মনোনীত করেছে সরকার। ২০ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তাদের হাতে পদক তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল বুধবার সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
মৃত্যুর ১৭ বছর পর এবার ভাষা ও সাহিত্যে মরণোত্তর একুশে পদক পাচ্ছেন সিকদার আমিনুল হক। আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম এই শীর্ষ কবি ২০০৩ সালের ১৭ মে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তিনি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়েও অসংখ্য কবিতা লিখেছেন।
এ বছর পদকপ্রাপ্তরা হলেন ভাষা আন্দোলনে মরহুম আমিনুল ইসলাম বাদশা (মরণোত্তর); শিল্পকলায় (সংগীত) ডালিয়া নওশিন, শঙ্কর রায় ও মিতা হক; শিল্পকলায় (নৃত্য) মো. গোলাম মোস্তফা খান; অভিনয়ে এস এম মহসীন; চারুকলায় শিল্পী ড. ফরিদা জামান; মুক্তিযুদ্ধে মরহুম হাজী আক্তার সরদার (মরণোত্তর), মরহুম আব্দুল জব্বার (মরণোত্তর) ও মরহুম ডা. আ আ ম. মেসবাহুল হক (বাচ্চু ডাক্তার) (মরণোত্তর); সাংবাদিকতায় জাফর ওয়াজেদ (আলী ওয়াজেদ জাফর); গবেষণায় ড. জাহাঙ্গীর আলম ও হাফেজ কারী আল্লামা সৈয়দ মোহাম্মদ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ; শিক্ষায় অধ্যাপক বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়া; অর্থনীতিতে অধ্যাপক ড. শামসুল আলম; সমাজসেবায় সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান; ভাষা ও সাহিত্যে নুরুন নবী, মরহুম সিকদার আমিনুল হক (মরণোত্তর) ও বেগম নাজমুন নেসা পিয়ারি; চিকিৎসায় অধ্যাপক ডা. সায়েবা আখতার। এ ছাড়া গবেষণায় প্রতিষ্ঠান হিসেবে একুশে পদক পাচ্ছে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট।
ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে সরকার ১৯৭৬ সাল থেকে প্রতি বছর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে এই পুরস্কার দিয়ে আসছে। পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন চার লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হবে।